জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: জন্মের পর থেকে সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা আর দিনের সাথে পাল্লা দিয়ে বড় হচ্ছে ২৬ দিন বয়সের শিশু আরাজ সিকদারের মাথা। ৩০ দিনের মধ্যে অস্ত্রোপচার করা না গেলে বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুটির জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। শিশু আরাজের অস্ত্রোপচারে খরচ হবে প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কুরপালা গ্রামের দরিদ্র আকাশ সিকদারের ২৬ দিন বয়সি ফুটফুটে ছেলে সন্তান আরাজ সিকদার।
যে সময় আরাজ হাত-পা নেড়ে, মায়ের বুকের দুধ খেয়ে আর ঘুমিয়ে কাটানোর কথা। সে সময়ে তাকে নিয়ে ছুটতে হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। পরিবারের নির্ঘুম দিন-রাত কাটছে। একেতো নেই চিকিৎসার টাকা, তারপরও আবার চোখের সামনে একটু একটু করে সন্তানের মাথা বড় হতে দেখে মুর্ছা যাচ্ছেন বাবা-মা।
আরাজের দরিদ্র বাবা আকাশ সিকদার বলেন, জন্মের সময়ই আরাজের মাথাটি অস্বাভাবিক বড় ছিল। কয়েক ঘন্টা পেরুতেই মাথা আরো বড় আকার ধারণ করতে থাকে। জন্মের ২ দিন পর আরাজকে নিয়ে যাওয়া হয় গোপালগঞ্জ জেলা সদরে চিকিৎসক শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. জাফরুল বারীর কাছে। তিনি দ্রæত ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। চার দিন পর আরাজকে নিয়ে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে যাওয়া হয়। সেখানে বহির্বিভাগে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখালে তারা অপারেশন করতে বলেন। হাসপাতালটিতে ১০ দিন ঘুরেও সন্তানকে ভর্তি করাতে পারেনি। সেখানের চিকিৎসকরা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করানোর জন্য পরামর্শ দেন। দ্রæত অপারেশন না করালে সন্তানকে বাঁচানো অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। অপারেশনের জন্য ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন।
এমন পরিস্থিতিতে আরাজের বাবা-মায়ের কাছে পৃথিবীটা অন্ধকার মনে হচ্ছে। ছেলের চিকিৎসা আর সংসারের খরচ যোগাতে আরাজের দরিদ্র বাবার হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ জন্য ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তার আকুতি জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি।
এদিকে, দুষ্টুচক্রের কবলে পড়ে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের মালি পদ থেকে ১১ মাস ধরে অব্যাহতিতে থাকা আকাশ সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। বয়স ৩০ দিন হওয়ার আগেই অপারেশন করা দরকার; কিন্তু টাকার অভাবে কিছুই করতে পারছেন না। বর্তমানে আরাজকে নিয়ে উপজেলার আশুতিয়া গ্রামে নানা অহিদুল ফকিরের বাড়িতে রয়েছেন তার পরিবার।
শিশু আরাজকে বাঁচাতে সমাজের দানশীলসহ বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন আরাজের বাবা-মা। সহায়তা পাঠাতে পারেন নিচের মোবাইল নাম্বারে ০১৯৮৫-৬২৭৬৯০ (পার্সোনাল: বিকাশ, নগদ ও রকেট)।